,

ইট ভেঙ্গে জীবন চলে রহিমার ঘর চান প্রধানমন্ত্রীর কাছে

পিন্টু অধিকারী মাধবপুর থেকে ॥ দারিদ্র যেন রহিমার পিছু ছাড়ছে না। দিন দিন দারিদ্র তাকে আরো দ্রারিদ্র করে তুলছে। ১০ বছর আগে স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারতেন তিনি। কিন্তু একটি সড়ক দূর্ঘটনায় তার জীবনে চরম দুঃখ কষ্ট নেমে এসেছে। মাধবপুর উপজেলার দক্ষিন সুরমা গ্রামের মৃত রজব আলীর মেয়ে রহিমা বেগম (৪৫) এখন ভাঙ্গা দুটি পা নিয়ে ক্রেচের (হাতা) ওপর ভর করে মানুষের বাড়ি বাড়ি ইট ভেঙ্গে পেটের আহার জোগায়। তবে সব সময় ইট ভাঙ্গার কাজ মিলেনা রহিমার। তখন বাধ্য হয়ে ভিক্ষা ভিত্তি করে জীবন চালাতে হয়। রহিমা খাতুন বলেন, প্রতিদিন অনেক কষ্ট করে পেটের দায়ে ইট ভাঙ্গার কাজ করি। শরীরে নানা অসুখ বিসুখ
বাসা বেধেছে। সড়ক দূর্ঘটনায় দুটি পা অবশ। পায়ের ওপর ভর করে দাড়ানোর কোন শক্তি নেই। একমাত্র ছেলে তার সংসার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। স্বামী ও সড়ক দূর্ঘটনার পর তাকে ছেড়ে চলে গেছে। ইট ভেঙ্গে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে বসত ঘরের জন্য ৩ শতক জমি ক্রয় করেছেন তিনি। কিছু টিন, কাঠ ও মিস্ত্রি খরচ হলেই ঘরটি নিমার্ণ করতে পারতেন। রহিমা বলেন, শুনছি প্রধানমন্ত্রী মানুষকে ঘর দেয়। আমি অসহায় মানুষ আমাকে একটি ঘর দিলে নিজের ঘরে থেকে মরলেও কোন কষ্ট হতোনা। শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, রহিমা একজন সুবিধা বঞ্চিত খুবই দরিদ্র লোক। ভাঙ্গা পা নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইট ভেঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করে। তাকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে একটি ঘর দিলে এটি এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, রহিমার জীবন যাপন আসলেই বেদনা দায়ক। সরকারি সুবিধার আওতায় তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহযোগীতা করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর